বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ, অপর্যাপ্ত এবং বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আরএসএফ-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও ‘র্যাঙ্কিং’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আরএসএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান র্যাঙ্কিং বাস্তবতা বহির্ভূত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উল্লিখিত সব উদ্যোগ বিবেচনা করে যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে আরএসএফ তাদের র্যাঙ্কিং মূল্যায়ন করবে বলে সরকার প্রত্যাশা করে। তাহলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় স্বাধীনতার বিষয়ে প্রকৃত অবস্থান ও চিত্র ফুটে উঠবে।
আরাফাত বলেন, এই প্রতিবেদন ও র্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য বর্তমান সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফের মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি বলে মনে করে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে উঠতে চাই জেনুইনলি। যাতে কেউ এগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার বা অপব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ না পায়, এটি হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।
এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছেন কি না- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বলবো এই প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে। প্রতিবেদনে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এগুলো নিয়ে কোনো পলিটিক্যাল বক্তব্যে যাবো না। আমরা একাডেমিক্যালি ধরবো। তথ্য দিয়ে ধরবো, গোঁড়ায় ধরবো, শিকড়ে ধরবো। এগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি বলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। অসত্য, ভুল এবং মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবো না। যেটা সত্য সেটা দিয়ে আমরা অসত্যকে চ্যালেঞ্জ করবো। এই ধরনের প্রতিবেদনে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে এমন কিছু যদি থাকে যেটি সত্য এবং আমাদের বিপক্ষে সমালোচনা। সেগুলোকে আবার আমরা স্বাগত জানাবো। নিজেদের শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো। সেখানে কোনো সমস্যা বা প্রতিবাদ থাকবে না। প্রতিবাদ থাকবে শুধু অসত্য অর্ধসত্য এবং ভুল তথ্য এবং বাস্তবতার প্রতিফলন না ঘটিয়ে কোনো ধরনের নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং যেখানে হবে।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম।
এম জি