পিঁয়াজ রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র নেতৃত্বে মন্ত্রীদের কমিটি রোববার পিঁয়াজ রপ্তানির উপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রোববারের বৈঠকে মন্ত্রীদের এই কমিটি ৩ লাখ মেট্রিক টন পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য ৫০ হাজার টন পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির দিন্ডোরির (নাসিক গ্রামীণ) কেন্দ্রের সাংসদ ভারতী পাওয়ার জানান, রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের (জিওএম) একটি বৈঠক হয়, সেখানে পিঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলীর বিষয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
পাওয়ার আরও জানান, রপ্তানি ফের নতুন করে শুরু হলো। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পিঁয়াজ চাষিদের কাছে একটি বিশাল স্বস্তি দেবে এবং পাইকারি পিঁয়াজের দামের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রে পিঁয়াজের বিশাল মজুদ জমে যাওয়া।
মহারাষ্ট্র স্টেট অনিয়ন প্রডিউসারস ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভারত দিঘোল বলেন, একবার রপ্তানি শুরু হলে আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস জানান, পিঁয়াজ রপ্তানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ। পিঁয়াজ উৎপাদকদের বিভিন্ন প্রশ্নের বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলাম।
গত বছর খরা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পিঁয়াজের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাজারে পিঁয়াজের ঘাটতির কারণে দাম প্রায় আকাশ ছোঁয়া ছিল। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ রুপিতে বিক্রি হয়েছিল পিঁয়াজ। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত।
এম জি