বহুল আলোচিত রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বে গুলিতে গৃহবধূ সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার রায় ফের পেছাল। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে আজ এ মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ১৩ মার্চ নতুন রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
এ তথ্য জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এর আগে ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করছিলেন আদালত।
১২ ডিসেম্বর মামলার পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল। এর আগে মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিস্পত্তি না হওয়ায় মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে মামলাটি মহানগর দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সামনে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর স্বামী সালাম চৌধুরী। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টু নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরপর দীর্ঘদিন উচ্চ আদালতে এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছিল আসামিপক্ষ। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পরে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পিবিআই আদালতে এ চার্জশিট জমা দেয়।
তদন্তে নেমে পিবিআই জানতে পারে, শুটার মারুফ রেজার পক্ষ থেকে মামলা স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। সেখান থেকে পুনরায় তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্তের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে উঠে আসে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে কীভাবে হত্যা করা হয়।
এনজে