ফিউচার মার্কেটে বৃহস্পতিবার কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় পাম অয়েলের দামে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের মে মাসে সরবরাহ চুক্তির দাম ১০ রিঙ্গিত বা দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৩ রিঙ্গিতে (৮০৪ ডলার ২২ সেন্ট)।
অন্যদিকে ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গতকাল সয়াবিন তেলের সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে। পাম অয়েলের সরবরাহ চুক্তির দামও কমেছে একই হারে। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
কার্গোর তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ১-২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। দেশটিতে স্থিতিশীল রফতানির বিপরীতে নিম্নমুখী উৎপাদন পাম অয়েলের মজুদ পরিস্থিতিকে চাপের মুখে ফেলেছে। জানুয়ারিতে টানা তৃতীয় মাসের মতো পণ্যটির মজুদ কমে ছয় মাসের সর্বনিম্নে।
মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, জানুয়ারি শেষে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২০ হাজার টনে, যা আগের মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ কম।
বোর্ড আরো জানায়, গত মাসে মালয়েশিয়ায় অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ টনে, যা গত বছরের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে রফতানি দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টনে নেমেছে।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা জানান, গত মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু এর বিপরীতে উৎপাদন কমে নয় মাসের সর্বনিম্নে। এ কারণে মজুদ থেকে রফতানি চাহিদা মেটাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
এনজে