বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিন দল আগেই নিশ্চিত করেছিল প্লে অফ। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে খেলতে সহজ সমীকরণ নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফিফটিতে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে বরিশাল।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ বলে ৩৮ রান করেন জাকের আলি।
১৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। দলীয় ১০ রানে ৭ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। এরপর ক্রিজে আসা কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তামিম।
৬৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৭৪ রানে ২৫ বলে ২৫ রান করে আউট হন মায়ার্স। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক।
দলীয় ১১৩ রানে ২৪ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। তার বিদায়ের পর দলীয় ১২২ রানে ৪৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন তামিম।
এরপর ক্রিজে আসা সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ২ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। এই জয়ে খুলনা টাইগার্সকে বিদায় করে প্লে অফ নিশ্চিত করলো বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান। এ ছাড়াও আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ এনামুল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নামলে দুর্দান্ত বোলিং করে লিটন-নারিনকে চেপে ধরে মিরাজ-তাইজুলরা। ১৮ বলে ১৬ রান করে আউট হলে সুনিল নারিন আউট হলে ১২ বলে ১২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন।
চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মঈন আলী। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রান করে তিনি। এরপর মঈনকে সঙ্গে দেন রাসেল। ২২ বলে ২৩ রান করে মঈন আলী আউট হলে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন আন্দ্রে রাসেল।
ম্যাথিউ ফোর্ড (০) এবং এনামুল ৩ রান করে আউট হলে ব্যাট চালাতে থাকেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১৭ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের লড়াকু পুঁজি পেল কুমিল্লা।
এএ