চলতি সপ্তাহে প্রতি টনে ৫৫০ ডলার ছাড়িয়েছে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য। এ নিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখিতায় পার করছে শস্যটির বাজার। খবর রয়টার্স। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় চালের সরবরাহ অব্যাহতভাবে কমছে। তার ওপর এটির চাহিদাও কিছুটা বেড়েছে। এ কারণেই নতুন রেকর্ড গড়েছে রফতানি মূল্য।
শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ভারতের পরই ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের অবস্থান। চলতি সপ্তাহে থাই চালের দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে বাড়তি মজুদের কারণে কমেছে ভিয়েতনামিজ চালের রফতানি মূল্য। তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে ভারত প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল ৫৪৬-৫৫৪ ডলারে রফতানি করেছে। আগের সপ্তাহে রফতানি মূল্য ছিল ৫৪২-৫৫০ ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সপ্তাহে চালের আমদানি চাহিদা আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি ছিল। ক্রেতারা দামের কারণে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কিন্তু তাদের হাতে অনেক বেশি বিকল্পও নেই। কলকাতাভিত্তিক এক রফতানিকারক জানান, রেকর্ড মাত্রায় দাম বাড়লেও ভারতীয় চাল এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী। বাজার অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় দেশটির সরকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাল রফতানিতে নিরুৎসাহিত করছে। আরোপ করা হয়েছে শুল্কসহ নানা ধরনের নীতিগত প্রতিবন্ধকতা। এ কারণে লম্বা সময় ধরেই দেশটির চালের রফতানি মূল্য ঊর্ধ্বমুখী।
ভিয়েতনাম চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৬২৫-৬৩০ ডলারে রফতানি করছে। গত সপ্তাহে রফতানি মূল্য ছিল ৬৩৭-৬৪০ ডলার। হো চি মিন সিটিভিত্তিক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনামে শীত-বসন্ত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন হয়। এ মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে বাড়ছে সরবরাহ, কমছে দাম। কিছু ব্যবসায়ী জানান, তারা স্থানীয় বাজারে দাম আরো কমার আশায় কৃষকদের থেকে ধান কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এদিকে থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে ৬১৫ ডলারে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি। ওই সময় প্রতি টনের রফতানি মূল্য ছিল ৬১০ ডলার।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারে উত্থান-পতনের কারণে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে শস্যটির চাহিদা এখনো দুর্বল। চলতি সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো রফতানি চুক্তিও হয়নি। আগামী মাস থেকে নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করবে বলেও জানান তারা।
এনজে