পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো নিয়ে নতুন কোন নির্দেশনা আসবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি সানবিডিকে বলেন, পুঁজিবাজারেকে অস্থিতিশীল করতে সব সময় একটি গ্রুপ কাজ করে। নতুন করে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি আবারও পরিস্কার করে বলতে চাই, ইতোমধ্যে জেড ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাই চূড়ান্ত। নতুন করে আর কোন নির্দেশনা দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের প্রতি আমার অনুরোধ গুজবে কান না দিয়ে নিজের মতো করে বিনিয়োগ করেন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরপর ২ বছর যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ দেয়নি এমন কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংস্থাটি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হলে তাকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। একইসাথে টানা দুবছর বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে ব্যর্থ হলেও কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। তবে এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোন রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোন আইনি প্রক্রিয়া থাকে তাহলে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য বিবেচনা করা হবে।
এছাড়া, উৎপাদনহীন কোম্পানি নিয়েও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এখন থেকে কোন কোম্পানি টানা ৬ মাস তার কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকলে বা উৎপাদন বন্ধ রাখলে সেটিকেও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি কোন কোম্পানির টানা দুই বছর ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক আসলে এবং পরিশোধিত মূলধনের থেকে ঋণ বেশি হলে তাকেও স্থান দেওয়া হবে জেড ক্যাটাগরিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোন কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন, বিধি-বিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ কিংবা নির্দেশাবলী পালনে ব্যর্থ হলে বা অসম্মতি জানালে সেটিকেও কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
এসকেএস