তামিমদের বরিশালের লঞ্চে বিপিএল শিরোপা

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০৩-০১ ২২:১১:৫৭


‘আমাগো বাড়ি বরিশাল। মোরা এইবার জিতমু, এরপর লঞ্চে কইরা কাপ নিয়া যামু।’ মিরপুরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফাইনাল শুরুর আগে বলছিলেন ফরচুন বরিশালের সমর্থকরা। নদীবিধৌত শহর হওয়ায় লঞ্চের সঙ্গে বরিশালের নামটার যে জড়াজড়ি! পদ্মা সেতু হওয়ার আগে লঞ্চই ছিল ঢাকা থেকে তাদের বাড়ি ফেরার প্রধান বাহন। শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ পাচ্ছে বরিশাল। কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতেছে তামিম ইকবালের বরিশাল।

শুক্রবার (১ মার্চ) কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। ১৫৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে তারা।

রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বরিশাল। শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের মেরে খেলতে থাকেন তারা। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ৭৬ রানে। এ সময় মঈন আলির বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। মিরাজও শিকারে পরিণত হন মঈন আলির। তামিম ৩৯ ও মিরাজ করেন ২৯ রান। ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগোতে থাকে বরিশালের রানের চাকা। এরমধ্যে মেয়ার্স দুবার জীবন পান। মঈন আলির ওভারে একবার রিশাদ হোসেন, আরেকবার জনসন চার্লজ তার ক্যাচ ছাড়েন।

জীবন পেয়ে জয়ের খুব কাছে চলে গেলেও মেয়ার্স বরিশালকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তিনি শিকার হন মুস্তাফিজুর রহমানের। মুশফিকুর রহিমও ফিজের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন, ১৮ বলে তিনি করেন ১৩ রান। বাকি কাজটা শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ডেভিড মিলার। মিলার ৮ ও রিয়াদ করেন ৭ রান।

এর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে কুমিল্লা। ১৪ বলে রাসেল করেন ২৮ রান। যদিও শেষদিকে বেশ কয়েকটি ডট খেলেন তিনি। ২৩ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। কাইল মেয়ার্সের তৃতীয় বলে সুনীল নারিনের ক্যাচ ছেড়ে দিলেও পঞ্চম বলে আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি ওবেদ ম্যাককয়। শর্ট ফাইন লেগে দারুণ ক্যাচ নেন ক্যারিবিয়ান পেসার। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনকে পিটিয়ে ১৪ রান তোলে তাওহীদ হৃদয়-লিটন দাস জুটি। হৃদয় বিদায় নেন চতুর্থ ওভারে। জেমস ফুলারের বলে ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চলে তার ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১০ বলে ১৫ রান করেন কুমিল্লার এ ব্যাটার। মারতে থাকা লিটন দাস ফুলারের বলে নান্দনিকভাবে কাট করলেও বল সীমানা ছাড়া হয়নি। তা লুফে নেন রিয়াদ। ১২ বলে ১৬ রান করেন কুমিল্লা দলপতি।

ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা জনসন চার্লস এদিনও রান পাননি। শম্বুকগতির ইনিংসে ১৭ বলে ১৫ রান করে ম্যাককয়ের ওভারে আউট হন তিনি। এরপর মঈন আলিকে নিয়ে ইনিংস ধরে রাখায় মনযোগী হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মঈন মাত্র ৩ রান করে রানআউট হন মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ এক থ্রোতে। পাঁচ উইকেট চলে যাওয়ার পর জাকের আলিকে নিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ একশ পার করেন মাহিদুল। বিপদের সময় হাল ধরেও তিনি আউট হন খুবই বাজেভাবে। সাইফউদ্দিনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লেগে খেলতে গিয়ে উইকেট উড়ে যায় তার। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন মাহিদুল। রাসেলের ইনিংসে ছিল ৪টি ছয়ের মার।

এএ