জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীর সংজ্ঞা পরিবর্তনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০৩-০২ ২০:১০:৫০
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের কারণে মানুষের স্থানান্তর এখন অত্যন্ত কঠিন। এ কারণে দ্রুত বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ‘জলবায়ু অভিবাসী’ ও ‘শরণার্থী’র সংজ্ঞা পরিবর্তন করে জাতিসংঘের অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২ মার্চ) তুরস্কের পর্যটন নগরী আনতালিয়ায় ‘আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরাম-২০২৪’ এর ‘বিল্ডিং এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল আর্কিটেকচারস: দ্য চ্যালেঞ্জ অব আনম্যাচিং ইন্টারেস্টস’ শীর্ষক প্রথম প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লরেন্স অ্যান্ডারসনের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক ছোট ও দ্বীপরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি তিন দশক ধরে বিশেষ করে, গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় জলবায়ু অভিবাসন বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের পরিবেশবিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের বিষয়ে বলে আসছেন। এখন অনেক বিশ্বনেতাসহ সবার কাছেই এটি স্পষ্ট যে কোনও দেশের স্থানীয় সমস্যাও বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলে। তবু ধনী দেশগুলো, যারা বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য প্রধানত দায়ী, তারা এ সমস্যা মোকাবিলা এবং পরিবেশ রক্ষার খুব কমই কাজ করছে। বাংলাদেশ এই রূঢ় বাস্তবতার অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সমস্ত পরিবেশকর্মী এবং বিশ্বনেতাদের কাছে জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীর সংজ্ঞা পরিবর্তনের গুরুত্ব মেনে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ স্মরণ করিয়ে দেন, মহাবিশ্বের দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির মধ্যে একমাত্র পৃথিবী গ্রহেই প্রাণের বিকাশ ঘটেছে। সেই প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষায় বিশ্বের পরিবেশ সুরক্ষা এবং এর ওপর বিরূপ প্রভাবগুলো প্রশমনে সযত্ন গুরুত্ব দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই।
এম জি