মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে। সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, তা কিন্তু আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেল—অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের সপক্ষে ছিলেন এমন মানুষের নামও তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, এখন আমরা দুই ভাগে ভাগ করেছি। একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর জন্য সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করার জন্য সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা তা প্রকাশ করব।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব কাজকর্ম চলছে, যেমন- বধ্যভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস, এসব কাজ যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য ডিসিদের তদারকি-তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা তারা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এম জি