সৌদি আরবে পবিত্র রমজানের  চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আজ থেকে  রোজা শুরু হয়েছে। সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামেও আজ সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তাই সোমবার (১১ মার্চ) থেকে আমরা রোজা রাখব।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেন, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চারটি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছেন।
গতকাল রোববার রাতে দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে একযোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবির নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের বলেন, আমার দাদারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করেছেন। আমরাও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারাবির নামাজ আদায় করলাম। এটাই আমাদের আনন্দ।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের তিন সহস্রাধিক বাসিন্দা আজ সোমবার থেকে রোজা শুরু করবেন। রোববার তারা প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেন।

বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের হাজারো মানুষ গতকালের তারাবি নামাজে অংশ নেন।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। সেই হিসেবে সৌদি আরবে রোজা শুরু হওয়ায় আমাদের ১৩ গ্রামেও রোজা শুরু হয়েছে।

বিএইচ