ধূমপানে বাড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ঝুকিতে মহিলারা!
প্রকাশ: ২০১৬-০৮-০৭ ১৯:২৯:৫৭
সিনেমা থিয়েটারে চলছে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ। সিগারেটের প্যাকেটের গায়েও রয়েছে সতর্কবার্তা। রয়েছে ডাক্তারদের পরামর্শ, বিধিনিষেধ, নিত্যনতুন গবেষণাও। এ বার হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির গবেষণায় উঠে এসেছে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, ধূমপানে মহিলা ধূমপায়ীদের মধ্যে বাড়ছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রবণতা।
১. হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির নতুন গবেষণা বলছে, ধূমপানের ফলে বাড়ছে সাব আরাকনয়েড হ্যামারেজের প্রবণতা। এই রোগে মস্তিষ্কের উপরিতল এবং মস্তিষ্কের টিস্যুর মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়।
২. অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে সাব আরাকনয়েড হ্যামারেজের প্রবণতা শুধুমাত্র মহিলাদেরই মধ্যেই নয়, দেখা যায় পুরুষদের মধ্যেও। তবে এক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যেই এই রোগের প্রবণতা থাকে বেশি।
৩. হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির ফিজিসিয়ান জনি ভালদেমার লিন্দবোহম জানাচ্ছেন, সাব আরাকনয়েড হ্যামারেজের তারতম্য দেখা যায় ধূমপানের মাত্রার উপর।
৪. দেখা যাচ্ছে, যে মহিলারা দিনে ১-১০টি সিগারেট খান তাঁরা নন-স্মোকারদের তুলনায় ২.৯৫ গুণ বেশি সাব আরাকনয়েড হ্যামারেজে আক্রান্ত হন। তবে নন-স্মোকার পুরুষদের তুলনায় ধূমপায়ী পুরুষরা ১.৯৩ গুণ বেশি আক্রান্ত হয়।
৫. গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে ১১-২০টি সিগারেট খান যে মহিলারা, তাঁরা নন-স্মোকারদের তুলনায় ৩.৮৯ গুণ বেশি এই রোগে আক্রান্ত হন। পুরুষদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাটা ২.১৩ গুণ বেশি।
৬. হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটি জানাচ্ছে, দিনে ২১-৩০টি সিগারেট খান যে মহিলারা তাঁরা ৮.৩৫ গুণ বেশি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের স্বীকার হন। পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটা হয় ২.৭৬ গুণ বেশি।
৭. এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল প্রবল মাথার যন্ত্রণা, দুর্বল ভাব, ফোটোফোবিয়া অর্থাৎ জোরালো আলোতে সমস্যা দেখা দেয়। স্ট্রোক, ডাবল ভিশন, স্টিফ নেকের মতো লক্ষণগুলোও দেখা যায়।
৮. ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির লিন্দবোহম জানাচ্ছেন, কোনও রোগীর আরাকনয়েডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা আছে তা নির্ভর করে তাঁর লিঙ্গ, বয়স, লাইফস্টাইলের উপর। তবে আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই সাবধান হলে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সানবিডি/ঢাকা/আহো