চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল সফরকারী শ্রীলঙ্কা। ফলে সোমবারের (১৮ মার্চ) ম্যাচটি হয়ে গেল অঘোষিত ফাইনাল।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ৭ উইকেটে বাংলাদেশের দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ১৭ বল হাতে রেখে। দলের জয়ে ১১৩ বলে পাথুম নিসাঙ্কা ১১৪ ও ৯৩ বলে চারিথ আসালাঙ্কা করেন ৯১ রান।
স্কোরবোর্ডে অর্ধশত রান তোলার আগে ৩ উইকেট শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই শরিফুল শিকার করেছিলেন আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট। গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন আভিস্কা। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস চড়াও হন বাংলাদেশি পেসারদের ওপর। ৫ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে তাদের রান হয় ৪২। এরপর তাসকিন আঘাত হানেন লঙ্কা শিবিরে।
প্রথম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই কুশাল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন তাসকিন। বাংলাদেশি পেসারের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক। ১৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। সাদেরা সামারাভিক্রমাকে ক্রিজে দাঁড়াতেই দেননি শরিফুল। নিজের চতুর্থ ওভারে লঙ্কান ব্যাটারকে গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান তিনি। ৪ বলে ১ রান করেন সামারাভিক্রমা।
এরপর ধীরে ধীরে চাপ সামাল দিতে থাকেন নিসাঙ্কা ও আসালাঙ্কা। দুজনে মিলে গড়ে ফেলেন ১৮৫ রানের জুটি। সেঞ্চুরি তুলে নেন নিসাঙ্কা। ১০০ বলে ১০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। ১১৪ রান করে তিনি আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজের ওভারে। সেঞ্চুরি করার আগে আসালাঙ্কার উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। এর মাধ্যমে ওয়ানডেতে একশ উইকেট পূর্ণ হয় টাইগার পেসারের।
শেষের দিকে লড়াইয়ে ফিরতে থাকা বাংলাদেশকে আরও ব্যাকফুটে ফেলে দেয় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ক্যামিও ইনিংস। জানিত লিয়ানাজ ৯ রান করে আউট হলেও ১৬ বলে ২৫ রান করেন হাসারাঙ্গা। দুনিত ভেল্লালাগে অপরাজিত থাকেন ১৫ রান করে।
এর আগে তাওহীদ হৃদয়ের শেষের ঝড়ে ২৮৬ রান করে বাংলাদেশ। হৃদয় ১০২ বলে ৯৬ রান করেন। বাকিদের মধ্যে সৌম্য সরকার ৬৮, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ২৫ রান করেন। হাসারাঙ্গা একাই নেন ৪ উইকেট।
এএ