বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে বিনা শুল্কে মদ আমদানি করা হয়। অথচ খেজুর আনতে হয় শুল্ক দিয়ে। আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? একাত্তরে বাংলাদেশকে কেন স্বাধীন করেছিলাম?
দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ চলছে। অঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। কেননা আমরা এখন ত্রিশংকু অবস্থায় আছি। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা আব্বাস বলেন, কথা ছিল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আমরা ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না-পাওয়ার পেছনে কারও প্রভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে এ উপমহাদেশের অনেক ছোটো ছোটো দেশ বড় দেশের পেটে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা না। ইনশাআল্লাহ, সময় সুযোগ আসবে দেশের জনগণ ও তরুণরা সেটা প্রমাণ করবে।
ড্যাব সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. আবদুস সালাম এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান-কাল ভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার তখন আঘাত করবো। জালিমের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে জালিমকে সরাতে হবে। তবেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে। খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্ত পাবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবো না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করবো। আমরা কী পেলাম আর কী পেলাম না এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কী দিলাম, জনগণের জন্য কী করতে পারলাম এটা ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।
ড. মঈন খান বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি এই সরকারকে হটিয়ে আবারও সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।
সেলিমা রহমান বলেন, আজকে আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফেরাতে হবে।
এএ