বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছে, তাদের কৃতিত্ব স্বীকার করতে চায় না বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বাঙালি শ্রমিক, সৈনিক, ছাত্র-জনতার মিলিত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এ সাধারণ সত্যটি স্বীকার করতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রাজি নয়। সশস্ত্র যুদ্ধ যারা করেছেন তাদেরকে কোনো কৃতিত্ব দিতে চান না তারা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক দলের অবশ্যই কৃতিত্ব আছে উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, মুক্তি সংগ্রামের সবচেয়ে কঠিন যে পর্যায়- যেখানে জীবন দিতে হয়, দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হয় জীবন বিপন্ন করে, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইপিআরের ছাত্র-জনতা সৈনিকেরা। অথচ এই তথ্যটি ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে না। তাদের (আওয়ামী লীগ) ধারণা, বিভিন্ন ঘোষণার কারণে দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র যুদ্ধের ব্যাপারে ইতিহাসবিদেরা নীরব। বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলও এ ব্যাপারে জনগণকে জানতে দিতে চায় না। সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আমাদেরকে আহত করে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার বিষয়ে বক্তব্য রেখে মেজর হাফিজ বলেন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধ শুরু না করলে দেশ আজও পাকিস্তান থাকতো। দিন দিন মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ছে, এটাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ।
এছাড়া মেজর হাফিজ তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করছেন। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পাকবাহিনী তাকে খুঁজতে থাকে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থাকেন। জুলাই মাসে পাক বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এম জি