বয়স কমান দশ বছর

আপডেট: ২০১৫-১০-২২ ১৮:২৩:১৪


age_87284বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমে যেতে থাকে দেহের সৌন্দর্য। তবে বার্ধক্য ভর করলেই নেমে আসে মূল বিপত্তি। এর জন্য দায়ী দৈনন্দিন জীবনযাপনের কিছু ভুল। অথচ জীবনযাপনে ছোট্ট পরিবর্তন নিয়ে এলেই উল্টো বয়স প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া যায়। এ জন্য কিছু নিয়ম খেয়াল করে নিয়মিত চর্চা করলেই হয়।

মানসিক চাপকে না
মানসিক চাপ কেউ ইচ্ছে করে নেয়া না। কিন্তু আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন মানসিক ভাবে নিজে চাপ নিয়ে আপনি কি কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারছেন? মোটেই নয়। বরং এই মানসিক চাপের সমস্যা আপনার বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে এবং সেই সাথে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। আবার অতিরিক্ত চাপের কারণে মস্তিষ্ক কর্মক্ষমতা হারায়।

ব্যায়াম
কাজ তো সারাজীবনই থাকবে কিন্তু দেহের তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন না যদি এই কাজের জন্য ব্যায়ামটাকে অবহেলা করেন। যতো কাজই থাকুন না কেন একটু সময় বের করে ব্যায়াম করে নিলে শরীরটা ঝরঝরে থাকবে এবং দেহে বয়সের ছাপ দেরিতে পড়বে। প্রায় ১০ বছর কমিয়ে ফেলতে পারবেন বয়স।

সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম খান
দেহের সুস্থতা এবং দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থেকে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কমিয়ে ফেলুন। সোডিয়াম বেশী খেলে ত্বকের নিচে পানি জমে যায় যার ফলে ত্বক দ্রুত কুঁচকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং চোখের নিচে ফোলাভাব চলে আসে।

দাঁতে দাগ ফেলে এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন
আপনার বয়স প্রায় ১০ গুন বাড়িয়ে তোলে যদি আপনার দাঁতে দাগ থাকে। এছাড়াও এমন খাবার যা দাঁত ক্ষয়ের জন্য দায়ী এমন খাবার খাওয়াও একেবারে উচিত নয়। কারন বয়সের উপর দাঁতের সৌন্দর্যও অনেকাংশে জড়িত।

সবসময় সানস্ক্রিন
নারী ও পুরুষ উভয়েরই বছরের প্রতিটি দিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, কারণ আমাদের ত্বকের বয়স বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি। এছাড়াও এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই নিজের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে একটু কষ্ট করে নিয়মিত এই কাজটি করুন।

চুলের দিকে নজর
অতিরিক্ত নানা হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার এবং স্টাইলিংয়ের কারণে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং অনেক সময় চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে আপনার যা বয়স তার থেকে অনেক বয়স্ক দেখায় আপনাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য একটু পরিবর্তন আনুন নিজের জীবনযাপনে। অযথা অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করুন এবং স্টাইলিং কমিয়ে দিন।

তারূণ্য ধরে রাখতে চাইলে এসব নিয়ম অণুসরণের কোন বিকল্প নেই। তাই বয়স কমিয়ে আনার জন্য এই ছোট্ট পরিবর্তন আনতে হবে আপনারই।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ