হতশ্রী বোলিং-ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও নড়বড়ে শুরু

---

বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বাজে প্রদর্শনীর পর ব্যাট হাতেও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লঙ্কানদের বড় সংগ্রহের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় সংগ্রহ ৫০ রান পেরোনোর আগেই সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। লঙ্কানদের বড় রানের বোঝা নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে টাইগাররা।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করার পর বোলিংয়ে ৫৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছে দলটি। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৪৭৬ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

খারাপ সময়টা যেন শেষই হচ্ছে না মাহমুদুল হাসান জয়ের। ব্যাট হাতে লম্বা সময় রানের দেখা না পাওয়া এই ক্রিকেটার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২১ রান করে লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

জয় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে না পারলেও জাকির হাসান দিন শেষ করেছেন ভালোভাবেই। ৩৯ বলে ২৮ রান করে দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে তাইজুল ইসলাম কোনো বিপদ ঘটতে দেননি শেষ পর্যন্ত। দলীয় ৫৫ রানে শেষ হয়েছে টাইগারদের দ্বিতীয় দিন।

৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। দিনেশ চান্দিমাল ৩৪ ও ধনাঞ্জয়া অপরাজিত ছিলেন ১৫ রান নিয়ে। দ্বিতীয় দিন হাফসেঞ্চুরি (৫৯) তুলে নেন চান্দিমাল। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দিন কুশল মেন্ডিসের উইকেটও শিকার করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।

এরপর স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখেন ধনাঞ্জয়া। প্রথম টেস্টের মতো এ ইনিংসেও সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। লাঞ্চ ব্রেক শেষে ফেরার পরই তার উইকেট তুলে নেন খালেদ। ১১১ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান লঙ্কান দলপতি।

ধনাঞ্জয়া আউট হওয়ার পর হাল ধরেন কামিন্ডু মেন্ডিস। টেইলেন্ডারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৯২ রান করে অপরাজিত ছিলেন কামিন্ডু। তাকে সঙ্গ দেয়া প্রবথ জয়সুরিয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

এর আগে প্রথম দিন কুশল মেন্ডিস, দিমুথ করুনারত্নে এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ব্যাটে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেছেন কুশল। ওপেনার করুনারত্নে করেছেন ৮৬ রান আর ম্যাথিউসের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ পেয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

এএ