আমরা গরমের সময় তরমুজ বেশ মজা করেই খেয়ে থাকি। কিন্তু মুখে তরমুজের বীচি গেলেই মুখটা কালো করে ফেলি, যেন বাজে কিছু খেয়ে ফেলেছি। অনেকেই বীচি ফেলে দিয়ে তারপর তরমুজ খান।
কিন্তু আপনি জানেন কি, এই সামান্য তরমুজের বীচি আমাদের দেহের জন্য কতোটা উপকারী? পরবর্তী সময়ে তরমুজের বীচিগুলো ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করুন। শুকিয়ে ভেজে খেতে পারেন। অথবা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনে ভরপুর এই তরমুজের বীচি আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায়: ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর তরমুজের বীচি হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে বেশ কার্যকরী। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করে। এটি হাইপারটেনশন দূর করতেও বেশ কার্যকর।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: এক মুঠো তরমুজের বীচি পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানি প্রতিদিন চায়ের মতো পান করুন। এতে ডায়বেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কারণ এই পানীয় রক্তের সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায়: প্রতিদিন তরমুজের বীচি বেটে ত্বকে লাগালে ত্বকের আদ্রর্তা বজায় থাকে এবং ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে। এছাড়া তরমুজের বীচির তেল ত্বকে সরাসরি লাগালে ত্বকের ব্রনের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুলের জন্য: তরমুজের বীচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা চুলের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। এছাড়াও তরমুজের বীচিতে রয়েছে অ্যামিনো এসিড যা চুলকে করে তোলে মজবুত। তরমুজের বীচি ভাজা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে চুল হবে উজ্জ্বল এবং চুল সাদা হওয়ার সমস্যাও দূর হবে। কারণ তরমুজের বীচি মেলানিন তৈরি করে, যা চুলের রঙ কালো রাখতে সাহায্য করে।
সানবিডি/ঢাকা/আহো