ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এ ফ্রিজ কিনে এবার মিলিয়নিয়ার হয়েছেন রাজশাহী’র মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। পেলেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এই নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৩ জন গ্রাহক।
ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন ক্রেতারা।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আমিনুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ তানোর থানা রোডে ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘মেসার্স তছলিমা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩২ হাজার ৫৯০ টাকা দিয়ে ১৬৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ম্যাসেজে দেখেন- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজশাহীর তানোর উপজেলার থানার মোড় এলাকায় তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার আমিনুল ইসলামের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর।
মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ’র মান্দা উপজেলার খাগড়ায়। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, বাবা মা ও ভাইসহ ৫ জন সদস্য। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে শহরের আম চত্ত্বর এলাকার আল-মারকাযুল ইসলামি আসসালাফি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন প্রায় সবার ঘরেই ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহার হচ্ছে। শুনেছি ওয়ালটন ফ্রিজের মান অনেক ভালো। দামও হাতের নাগালে। তাই আমার বাসার জন্যও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো তা কল্পনাও করিনি। ওয়ালটনের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। ওয়ালটন থেকে প্রাপ্ত টাকায় অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাবো এবং অবশিষ্ট টাকা আমার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখবো।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন যে কখনো ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে না; তাদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে তার প্রমাণ আজকে আমি নিজেই। তাই সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘ওয়ালটন এখন দেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে সাশ্রয়ী দামে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। ওয়ালটন দেশের জন্য যা করার করছে; এখন আমাদের কাজ হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য কিনে প্রতিষ্ঠানটিকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে নেয়া। ওয়ালটনের পণ্য কেনার পর আমাদের দেশের টাকা দেশেই থাকবে।’ চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ‘ওয়ালটন সব সময় ভালোর সঙ্গে থাকে। ওয়ালটন চায়, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। ঈদের আনন্দটাকে আরও বাড়িয়ে দিতে ওয়ালটনের এই মিলিয়নিয়ার অফার চলছে। বাংলাদেশে
ওয়ালটনের জন্ম না হলে, সবাইকে বহু দাম দিয়ে ফ্রিজসহ সব প্রোডাক্ট কিনতে হতো। তাই আপনারা সবাই দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের পণ্য কিনুন।’
ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, ‘পণ্য কেনার জন্য ওয়ালটন যে ১০ লাখ টাকা দিচ্ছে এবং ক্রেতাকে দেয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে তার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মিজানুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আসাদ্জ্জুামান এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘তছলিাম ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এএ