আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল। আমাদের জানামতে, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে পিছিয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি রাষ্ট্রদূতকে বলব, আপনার দেশ গণতন্ত্র সূচকে কত ধাপ পিছিয়েছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য একটা সহনীয় অবস্থায় রাখার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে এফোর্ড দিচ্ছেন, তা বিরল। ঈদে অর্থ প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে। অর্থ লেনদেনের যে গতিময়তা, তা আমাদের অর্থনীতিতে একটা গতিশীলতা নিয়ে এসেছে। সে সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর যে প্রয়াস তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ পার্টি হিসেবে আমরা তার নির্দেশনা মেনে চলব।
উপজেলা নির্বাচনের একজন প্রার্থীকে অপহরণ করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত বড় একটা নির্বাচন, তাতে টুকটাক কিছু ঘটনা যে ঘটবে না, ঘটেনি তা নয়। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। প্রশাসনিকভাবে আমরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কতজন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কতজন প্রার্থী, আমরা সেটা হিসাব করে দেখার তাগিদ অনুভব করিনি। আমরা সবাইকে সুযোগ দিয়েছি।
জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে কাউকে না যেতে আহ্বান করেছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতের আহ্বান নিয়ে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া আমরা দিচ্ছি না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
এম জি