ভারতে বিমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় উঠেছে। ইন্স্যুরেন্সের অর্থ পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটছে বহু গ্রাহকের। বিষয়টি নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে তারা।
সূত্র জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু বিমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতেই অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। তাতেই বিমা কোম্পানিগুলোর কুকীর্তি ফাঁস করা হয়েছে। ক্রেতা সুরক্ষার কর্মকর্তাদের দাবি, গ্রাহককে ভুল বুঝিয়ে বহু বিমা কোম্পানি পলিসি বিক্রি করছে। ফলে প্রয়োজনের সময় বিমার টাকা পেতে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা।
উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে বিমার বেশ কিছু নিয়মের আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ করেছেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊধ্র্বতন কর্মকর্তা বলেন, পলিসি বিক্রির সময় অডিও ভিজ্যুয়াল রেকর্ড করে রাখতে হবে বিমার এজেন্টকে। গ্রাহককে কখনই ভুল বুঝিয়ে বিমা বিক্রি করা যাবে না। এসব নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ভোক্তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পেয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। যার মধ্যে বিমা সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার। এর আগে বিমা সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছিল কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএ)। তাতেও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি।
সমীক্ষক সংস্থা লোকাল সার্কেলসের দাবি, স্বাস্থ্য বিমার টাকা পেতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় আমজনতার। দেশের মোট ৩০২টি জেলায় ৩৯ হাজার গ্রাহকের মধ্যে এ নিয়ে সমীক্ষা চালান তারা। সমীক্ষকদের রিপোর্টে স্বাস্থ্য বিমার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ আসে।
লোকাল সার্কেলসের দাবি, গত ৩ বছরে ৪৩ শতাংশ পলিসি হোল্ডারের স্বাস্থ্য় বিমার টাকা পেতে নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে। সমীক্ষক সংস্থা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, আমরা জানতে পেরেছি, রোগীর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য বিমার টাকা না আসার জন্যই এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বলে জানিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
এএ