দেশজুড়ে দ্রুতগতির ফোর-জি নেটওয়ার্কের গুণগতমান ও গতি আরও বৃদ্ধি করতে দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক তাদের থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরো বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে অপারেটরটি।
গত ৫ মে দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দেয়। এই কৌশলগত পদক্ষেপ ‘সকলের জন্য সেরা ফোর-জি’ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। একই সাথে এটি সারা দেশে চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অপারেটরটির নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে।
ফোর-জি প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এই যুগোপযোগী রূপান্তর গ্রাহকদের জন্য বাংলালিংক-এর ইন্টারনেটের উচ্চতর গতি, নির্ভরযোগ্যতা ও সহজলভ্যতার প্রতিশ্রুতিকেই ধারণ করে।
গ্রাহক-কেন্দ্রিক অপারেটর হিসেবে, বাংলালিংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ফোর-জি সেবা গ্রহণ ও ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে থ্রি-জি সেবা বন্ধ করার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দিয়েছে। এই কৌশলগত সিদ্ধান্তটি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন কর্তৃক সমর্থিত। এছাড়া ভিওন পরিচালিত বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথেও এটি সংগতিপূর্ণ।
এছাড়াও চলমান নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে সম্প্রতি বাংলালিংক সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সাথে বেশ কয়েকটি নতুন চুক্তি সম্পাদনের ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তিগুলির ফলে টানা চার বছর ওকলা® স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড™ কর্তৃক স্বীকৃত দেশের দ্রুততম নেটওয়ার্ক- বাংলালিংক-এর ফোর-জি নেটওয়ার্ককে দেশব্যাপী আরও বেশি গ্রাহকদের নিকট পৌঁছে দিতে পারবে।
বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, “ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসাবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।”
সম্প্রতি, বাংলালিংক সারা দেশে উচ্চতর গতি ও কভারেজ নিশ্চিত করতে এর নেটওয়ার্ক সক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। উন্নত নেটওয়ার্ক ও অত্যাধুনিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফি-এর মাধ্যমে, কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য ছয়টি আইসিসি ইভেন্ট বিশেষভাবে সম্প্রচার করবে যেখানে বিশটি দেশের অংশগ্রহণে পুরুষদের একাত্তরটি ম্যাচ ও নারীদের পঁচানব্বইটি খেলা দেখানো হবে।
এএ