তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের বিশেষ কোটা চালু করা হবে : পলক

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০৫-০৮ ১৪:৩১:৪০


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারী গ্রাজুয়েটদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আইসিটি বিভাগ এরইমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে আমি নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোটা রাখতে চাই।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শি-স্টেম বিজনেস কেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দ্য কিংডম অব নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নারী স্টেম গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আইসিটি বিভাগ ইতিমধ্যেই বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি আমরা শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এখানে আমি নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোটা রাখতে চাই।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিটি প্রকল্পে মেয়েদের জন্য একক কোটা রাখা হবে যেন তারা সহজেই এই খাতে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের অমিত সম্ভাবনা প্রকাশ করতে পারে।

পলক বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমতা না থাকলে শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। সেই দর্শন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এর ফলে আজ গ্রাম থেকে বিদেশেও এই প্রকল্পে নারী-পুরুষ উদ্যোক্তার সমতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, গত তিন মাসে ২২টি জেলা সফর করে আমি বুঝতে পেরেছি আমাদের নারী উদ্যোক্তারা ব্যক্তি, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান উন্নত করেছেন। আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতায় অনন্যতা অর্জন করেছেন।

পলক বলেন, এখন আমরা স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে কাজ শুরু করব। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির রিসার্চ ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছি। আমি মনে করি, এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও ব্লক চেইনের মতো বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা দরকার।

বাংলাদেশে এখন মাত্র ১ শতাংশ নারী প্রকৌশল খাতে আছে। এই সংখ্যা বাড়াতেই নারীদের জন্য স্টেম শিক্ষা চালু করতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং শুন্য ডিজিটাল বিভাজন প্রতিষ্ঠায় শি স্টেম ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি কলাবেরশন এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্নয়ন অংশীদারীরা কীভাবে স্টেম শিক্ষার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে তা নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এম জি