দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার উচ্চ রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তারা। এমনটি বাস্তবে হলে বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা হ্রাস পাবে। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ফেড সুদের হার চড়া রাখলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান ঊধ্র্বমুখী হবে। ফলে জ্বালানির দর কম থাকবে।
আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮২ ডলার ৭৯ সেন্টে।
একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দর হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৮ ডলার ২৬ সেন্টে।
সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কই মূল্য হারানোর পথে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দাম বেড়েছে। ফলে তেলের দরপতন ঘটেছে।
বিদায়ী এপ্রিলে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সেটা বর্তমানে ৩ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। যেটাতে ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় ফেড। ফলে সুদের হার বাড়তি রাখতে ইচ্ছুক তারা। এমনটা বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা দুর্বল হবে। সঙ্গত কারণে দাম নিম্নমুখী হয়েছে।
মূলত, তেলের ব্যবসা-বাণিজ্য হয় ডলারে। ফলে মুদ্রাটির দর বেড়ে গেলে জ্বালানি পণ্যটি কেনা কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, অন্যান্য কারেন্সির অবমূল্যায়ন হয়। যে কারণে তেলের দর নিম্নগামী হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বৃহৎ ভোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুত বেড়েছে। জ্বালানি পণ্যটির দরপতনের অন্যতম কারণও এটি।
এএ