আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও সুদৃঢ় করা যায় তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সাবের হোসেন বলেন, অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবো। কিছু বিষয়ে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।
তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে লু’র সঙ্গে কথা হয়েছে। জলবায়ু ফান্ড নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ফান্ডিং ও সাপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করাসহ নানা বিষয়ে সহায়তা সেবা পাবার বিষয়ে আমরা আমেরিকার সমর্থন চেয়েছি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ডেটা সহায়তা চেয়েছি। আমরা কিভাবে কাজ করছি জলবায়ু বিষয়ে সে সংক্রান্ত কাজের তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছি। এছাড়া আগামী দিনে গ্রীন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা চেয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছি। তবে জলবায়ু সহায়তার বিষয়ে আমরা কোন অংকের কথা বলেনি, আমরা সবখাতে আমাদের চাহিদা ও অগ্রাধিকারগুলো ডোনাল্ড লু’কে জানিয়েছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু, গ্রীণ প্রকল্পে যৌথভাবে কাজের কথা বলেছি। আজ কোন চুক্তি হয়নি। তবে নানা বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর কাজ চলছে, যাতে করে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারি। বৈঠকে টেকসই উন্নয়ন ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কথা হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে কোন কথা হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, বন্যা, বন ধ্বংস, লস অ্যান্ড ড্যামেজ নানা বিষয়ে আমেরিকা প্রযুক্তিগত, স্যাটেলাইটগত ডেটা সহায়তা করবে সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ডোনাল্ড লু। আমরা বলেছি প্লাস্টিক দূষণ এখন দেশে মারাত্মক পর্যায়ে আছে, সেটা কমাতে কিভাবে যৌথভাবে কাজ করবো সে বিষয়ে জোর দিয়েছি।
বৈঠক শেষে ডোনাল্ড লু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে এবং পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন খাতে এক হয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
এম জি