এবার পাতলা আইফোন তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। ২০২৫ সালে এটি বাজারে আসতে পারে। দ্য ইনফরমেশন ওয়েব পোর্টালের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, বর্তমান বাজারে অ্যাপলের প্রচলিত মডেলগুলোর চেয়ে পাতলা ফোনটির দাম বেশি হবে। যেমন- আইফোন প্রো ম্যাক্সের চেয়ে এর দর অধিক হবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৭ মডেলের সঙ্গে পাতলা ফোনসেট বাজারে আসবে।
আসন্ন ফোনের সাংকেতিক নাম দেয়া হয়েছে ডি ২৩। মডেলটির ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্য কী হবে, তা নিয়ে গবেষণা করছে কোম্পানিটি। এতে এ-১৯ হিসেবে পরিচিত অ্যাপলের সবচেয়ে আধুনিক প্রসেসর ব্যবহৃত হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা বিশ্বে অ্যাপলের ফোন বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। চীনের বাজারে হুয়াওয়ে ও অনারের ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে তারা। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে স্যামসাংয়ের কাছে শীর্ষ স্থান হারিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট। ফলে আইফোনের মানোন্নয়নে নজর দিয়েছে অ্যাপল।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে স্যামসাংয়ের। এসময়ে তাদের বাজার হিস্যা ছিল ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর অ্যাপলের ছিল ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
শুধু তাই নয়, বছরের চলমান প্রান্তিকে অ্যাপলের ফোন বিক্রি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। পরিপ্রেক্ষিতে কম দামি আইফোন প্লাসের বিক্রি বন্ধ করতে চাচ্ছে তারা। পাশাপাশি আরেক মডেলের সস্তা ফোন বাজারে আনতে চায় আমেরিকান জায়ান্ট।
এরই মধ্যে আইপ্যাড প্রোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যোগ করে বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল। চীনের বাজারে আইফোন ১৫ সিরিজের হ্যান্ডসেটের বিক্রি অনেক কমেছে। মূলত দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি তুলনামূলক কম দামে উন্নতমানের হ্যান্ডসেট বাজারে ছেড়ে রেখেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে অ্যাপল।
গত বছর দারুণভাবে স্মার্টফোনের বাজারে ফিরে এসেছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে। মেট ৬০ প্রো নামের হ্যান্ডসেট বাজারে এনে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে শাওমিও ভালো করছে। এই পরিস্থিতিতে পাতলা ফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।
পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী রহিম মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে মনে হচ্ছিল, বাজার ভালো হচ্ছে। এতে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু সময় গড়ার সঙ্গে তা ফিকে হয়ে গেছে। এখন দিন দিন লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও বিক্রি করতে পারছি না।
আরেক বিনিয়োগকারী করিম বলেন, লেনদেনের শুরুতে বড় দরপতন দেখে তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির আদেশ দেই। কিন্তু আমার আগে অনেকেই তা দেন। ফলে সময় শেষ হয়ে গেলেও আমার শেয়ার বিক্রি হয়নি।
অপর বিনিয়োগকারী রহমান বলেন, ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ২ লাখ টাকার ওপরে লোকসানে রয়েছি। দিন দিন বাজার খাদে চলে যাচ্ছে। লোকসানের চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা কারণে স্টক মার্কেটে এই টানা দরপতন ঘটছে। এর মধ্যে অন্যতম রিজার্ভ কমে যাওয়ার সংবাদ এবং রিজার্ভ চুরি হওয়ার গুজব। এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন কর আরোপের গুঞ্জন এবং দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেয়ার খবরও উল্লেখযোগ্য কারণ।
ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারের ওপর আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। এটা না কমলে বাজার ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।
বিএইচ