বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী রাশিয়াসহ কয়েকটি রপ্তানিকারক দেশে গমের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এই আশঙ্কায় সোমবার (২০ মে) খাদ্যশস্যটির আন্তর্জাতিক বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এদিন শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) খাদ্যপণ্যটির দাম ১ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সবচেয়ে সক্রিয় গমের চুক্তি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি বুশেলের দাম স্থির হয়েছে ৬ দশমিক ৫৯ ডলারে। এর আগে গত শুক্রবার খাদ্যশস্যটির দর ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছিল।
বিশ্বের শীর্ষ গম উৎপাদক রাশিয়ায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। দেশটিতে চলতি মাসে প্রচুর বৃষ্টি ও তুষারপাত হচ্ছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতেও বিরূপ আবহাওয়া বিদ্যমান। ফলে ভোগ্যপণ্যটির দাম ঊধ্র্বমুখী হয়েছে।
রাশিয়ান ইউনিয়ন অব গ্রেইন এক্সপোর্টার্সের এক শুমারিতে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে রাশিয়া থেকে ৪৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম রপ্তানি হতে পারে।
বিপরীতে রুশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে। সেই হিসাবে এবার বিশ্ববাজারে সরবরাহ কমবে। এর মানে খাদ্যশস্যটির দাম বাড়তি থাকতে পারে।
ফ্রান্সে গমের উৎপাদন স্থিতিশীল থাকতে পারে। জার্মানিতে খাদ্যশস্যটির চাষ কমেছে। সবমিলিয়ে বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ কম থাকবে। তবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে পর্যাপ্ত উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে খাদ্যপণ্যটিতে লোকসান কম গুণতে হতে পারে।
এএ