হার দিয়ে শুরু হওয়ায় শঙ্কা ছিলো সিরিজ খোয়ানোর। সিরিজে টিকে থাকতে এই ম্যাচের জয়ের বিকল্প ছিলো না। তবে শঙ্কাই সত্যি হলো। সিরিজ হারলো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরেকটি হতশ্রী পারফরম্যান্সে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে বাংলাদেশ ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৩৮ রানে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলা সৌম্য সরকার প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন।
লিটন দাসের পরিবর্তে সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা তানজিদ তামিম ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সাজঘরে ফিরেছেন ১৫ বলে ১৯ রান করে।
৩০ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। দু’জনেই প্রয়োজনীয় রানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। তবে হঠাৎ ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন শান্ত।
৩৪ বলে ৩৬ রান করে অধিনায়ক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৪৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
এরপরই ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। শান্ত ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ২৫ রান। গত ম্যাচে লোয়ার মিডল অর্ডার ভালো ব্যাটিং করলেও আজ ব্যর্থ হয়েছে। ইনফর্ম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলি ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই।
ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মাঝে সাকিব কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন। তবে তিনি ২৩ বলে ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি।
শেষদিকে রিশাদ হোসেন-তানজিম সাকিবরাও দ্রুত ফিরেছেন। ফলে ছোট লক্ষ্য তাড়ায়ও জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের ১০০তম হার। প্রথম দল হিসেবে এই সংস্করণে হারের ‘সেঞ্চুরি’র বিব্রতকর রেকর্ড গড়ল তারা। এখন পর্যন্ত ১৬৮ ম্যাচ খেলে তারা জিতেছে ৬৪টি। বাকি চারটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এম জি