নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্ন তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৭ মে) ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইনের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নির্দেশনা দেন।
ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার কতিপয় ক্ষেত্র ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সব তথ্যে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু, অনেক সময় সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকার পরও তথ্য সংরক্ষণ এবং পেশাদারিত্বের অভাবে যথাসময়ে তথ্য প্রদান ব্যাহত হয়।
এছাড়া, তিনি সবাইকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। নাগরিকের চাওয়া তথ্য প্রদানে কোনোরকম লুকোচুরি করা যাবে না বলে সতর্ক করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা অভিযোগের বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা গেলে অভিযোগ কমে আসবে। এছাড়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক শৃঙ্খলা অনুসরণ করার পরামর্শ দেন।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইন বাস্তবায়ন জরুরি। তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউজিসিতে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।
কর্মশালায় ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভুইয়া, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীরসহ কমিশনের ২৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
বিএইচ