ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের-ছাত্রীদের হলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) অষ্টম নগর সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির এ যুগে ঢাবিতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ড হওয়া উচিত।
উপাচার্য বলেন, ঢাবির প্রতিটি হলের সামনে বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিন রাখা হবে। ময়লার ধরনের ওপর ভিত্তি করে এসব ডাস্টবিনে বর্জ্য ফেলবেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আপাতত এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতা প্রয়োজন।
মাকসুদ কামাল বলেন, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার দিক থেকে এশীয়দের মধ্যে একেবারে তলানিতে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাবিতেই যে গবেষণা হয় তা অপ্রতুল। এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা গবেষণামুখী ছিল না। এখন নতুন সিলেবাসে বিদ্যালয় থেকেই শিশুরা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অংশীদার হতে পারবে।
ঢাবির সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ভিত্তিক প্রজেক্ট প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী বাজেটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ঢাবির সমন্বয়কল্পে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে। বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে ঢাবির নানা প্রকল্পে উত্তর সিটি করপোরেশন সমন্বয় করবে।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি প্রসঙ্গে মেয়র আতিক বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে এই এক ল্যান্ডফিলের মাধ্যমে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিএইচ