এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পারে সৌদি আরব। আগামী জুলাই থেকে যা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটি হলে তা হবে গত ৫ মাসের মধ্যে প্রথম। বুধবার (২৯ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক সৌদি। আগামী জুলাইয়ে এশিয়া অভিমুখী আরব লাইট ক্রুডের আনুষ্ঠানিক বিক্রয়মূল্য (ওএসপি) ৩০ থেকে ৫০ সেন্ট কমাতে পারে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি আরামকো। এক্ষেত্রে দুবাই ও ওমান বেঞ্চমার্কের বিপরীতে আরব লাইট ক্রুডের ওএসপি হতে পারে প্রতি ব্যারেলে ৩ ডলারের নিচে।
মধ্যপ্রাচ্যের বেঞ্চমার্ক এবং এশিয়ান রিফাইনারদের মার্জিন দুর্বল হয়েছে। ওই অঞ্চলের শেয়ারবাজার নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে এই মূল্য হ্রাস করা হচ্ছে। গত জানুয়ারির পর যা প্রথম। পরিশোধন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিজেদের তেল রপ্তানির ৮২ শতাংশই এশিয়ার দেশগুলোতে করে সৌদি। সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন বাড়িয়েছে ওপেক বহির্ভূত দেশগুলো। বিশ্ব অর্থনীতিও মন্থর হয়েছে। এতে চাপে পড়েছে সৌদি। তাই দর কমাতে চাচ্ছে তারা।
বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেঞ্চমার্ক দুবাইয়ের দরপতন ঘটেছে। ফলে আরামকোও তেলের দাম কমানোর কথা ভাবছে। এই দফায় আরব মিডিয়াম এবং আরব হেভির দর আরও হ্রাস করা হতে পারে।
আগামী ২ জুন অনলাইনে বেঠক করবেন তেল রপ্তানিকারক এবং তাদের মিত্রদের সংগঠন ওপেক প্লাসের নীতি-নির্ধারকরা। ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি পণ্যটির দাম চড়া রাখতে উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা।
বিএইচ