ফুটবলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ২০০ কোটি টাকা চেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফে ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উভয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারের কাছে চার বছর মেয়াদী প্রকল্পে ৪৫০ কোটি টাকা চেয়েছিল বাফুফে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হয়ে সেই ফাইল গিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে। সেই সময়ের প্রেক্ষাপট ও সামগ্রিক বাস্তবতায় অর্থ মন্ত্রণালয় বাফুফের সেই আবেদনে অসম্মতি জানায়। ফলে বাফুফের প্রকল্প সেখানেই সমাপ্তি ঘটে। এক বছর পর আবারও বাফুফে সরকারের কাছে বড় অঙ্কের আর্থিক সাহায্য চেয়েছে।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ধারাবাহিকভাবে ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে বসেছেন। বাফুফেও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিল। সেই সময় বাফুফের প্রতিনিধি দল সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ কোটি টাকা সিডমানি চেয়েছিল। সেই আমানতের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদ থেকে ফুটবল পরিচালনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার পরিকল্পনা দিয়েছিল বাফুফে। ওই সময় ক্রীড়া মন্ত্রী সিডমানির চেয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
সরকারের গত মেয়াদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাফুফেকে আলাদা আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থের সঠিক হিসাব ও নিদের্শনা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাফুফে। অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পূর্বের রেকর্ড তেমন ইতিবাচক নয়।
সরকারি অর্থের মতো ফিফা ফান্ডের ব্যয় নিয়েও বাফুফের অসঙ্গতি রয়েছে। ফিফা ফান্ডের অর্থ দিয়ে কেনাকাটায় অসঙ্গতির জন্য বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অর্থ কর্মকর্তা ও অপারেশন্স ম্যানেজার নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আর্থিক জরিমানার শিকার হয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
বিএইচ