বাড়তে পারে সিগারেটের দাম
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০৬-০৬ ১১:০৫:৪৭
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। সেই সঙ্গে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট।
প্রতি বছরই তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং এ খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়। করে বেড়ে যায় সিগারেট, জর্দা ও গুলের দাম। এবারও সিগারেটের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটে তামাকজাত পণ্য, পানির ফিল্টার, এলইডি বাল্ব, কম্পিউটারের দাম বাড়তে পারে। কমতে পারে গুঁড়া দুধ, ল্যাপটপের দাম।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্যস্তর বাড়ানো হতে পারে। তিন স্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হতে পারে। এতে বাড়তে পারে সব ধরনের সিগারেটের দাম।
আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে এবার বাজেটে খরচের লাগাম টানা হচ্ছে। প্রতি বছর গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ আকার বাড়ানো হলেও এবার মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বাড়িয়ে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
গত জুনে চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল তার থেকে এই বাজেট মাত্র ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের অঙ্ক বাড়ানো হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, আয়-ব্যয়ের যে হিসাব বাজেটে দেওয়া হয় তার কোনোটাই লক্ষ্য পূরণ হয় না। প্রতি অর্থবছর শুরুতে যে বাজেট দেওয়া হয়, ৯ মাস শেষে একবার সংশোধন করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা যায়, বাস্তবায়নের হার আরও কম। গত তিন বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে। অর্থ বিভাগের গত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতি বারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ।
এম জি