বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সরকারী ও পল্লী বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ চোরাই তারসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এক ইউপি সদস্যকে আটকের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে মতে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য বরকত উল্লাহ মিয়ার বাশাইল বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
খুব সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ বরকত উল্লাহকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দোকান খুলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সরকারী প্রতিষ্ঠানের সীল লাগানো, পল্লী বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ তার উদ্ধার করলেও স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তারসহ ইউপি সদস্য বরকত উল্লাহকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ওই অফিসার এর আগেও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে অঅর্থিক সুবিধা পেয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বরকত উল্লাহ কয়েক মাস পূর্বে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেছিলেন। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য বরকত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন তার উদ্ধার হয়নি। আমি রাজনীতির শিকার হয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ শুনছি।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এমন কোন ঘটনা তিনি জানেন না। তবে কোন অফিসার সেখানে গিয়েছিল খোঁজ নিয়ে জেনে ব্যবস্থা নেবেন।
সানবিডি/ঢাকা/অপূর্ব/আহো