একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ বিকেলে তার পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে মীর কাসেমের ফাঁসি আজ হচ্ছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও গুঞ্জন রয়েছে আজকেই ফাঁসি হচ্ছে এ যুদ্ধাপরাধীর।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, দণ্ড কার্যকরে তারা এখন শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারা অধিদফতরের দায়িত্বশীল একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি আজ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তাদের ভাষায় ‘ফিফটি ফিফটি চান্স’ রয়েছে।
একজন শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুই দফা ফাঁসির মহড়াও হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্রিন সিগন্যাল পেলে যেকোনো সময় ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হতে পারে মহান একাত্তরের যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর।
আইনি সব লড়াই চালিয়ে পরাজিত হওয়ার পর কাসেম আলীর সঙ্গে খোলা ছিল কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ। তবে শুক্রবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না। এরফলে কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শুক্রবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার আবেদন করবেন না জানিয়ে দেয়ার পর থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মূল কারাফটকে অতিরিক্ত কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়।
কারাবিধি অনুযায়ী যেকোনো আসামির ফাঁসি কার্যকরের আগে তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ দেখা করতে দেয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এরআগে যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দণ্ডিত বাকিরাও একই সুযোগ পেয়েছেন। আজ বিকেলে পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানোর কারণে ফাঁসি আজই হচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস