[caption id="attachment_31712" align="alignright" width="600"] Bangladesh cricketer Shakib Al Hasan (R) celebrates with his teammate Nurul Hasan (L) after the dismissal of the Zimbabwe cricketer Vusi Sibanda during the first T20 cricket match between Bangladesh and Zimbabwe at the Sheikh Abu Naser Stadium in Khulna on January 16, 2016. AFP PHOTO/ Munir uz ZAMAN / AFP / MUNIR UZ ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)[/caption]
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকের গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে এবং আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও এ পুরস্কার পেয়েছেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মনোনীতদের মাঝে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এ অনুষ্ঠানে মোট ৩২ জন ২০১০, ২০১১ এবং ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান।
ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ২০১১ সালের জন্য মনোনয়ন পাওয়া শেখ কামালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার (মরণোত্তর) আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ঢাকা ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ শাহেদ রেজা। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলতেন। পাশাপাশি অ্যাথলেটও ছিলেন তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা টেস্ট ক্রিকেটের ১০তম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেলাম, অনেকেই তখন নানাভাবে অনেক বিদ্রূপ করেছিল। আমি নাকি লবিং করে অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বলে বলে এই স্ট্যাটাসটা অর্জন করেছি। খেলাধুলায় নাকি আমাদের ছেলেরা পারদর্শী না। তবে আমাদের ছেলেরা যে খেলাধুলায় পারদর্শী- তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে তারা।
২০১০ সালের জাতীয় ক্রীড়া পদক বিজয়ীরা হলেন- হারুন-উর-রশীদ (সুইমিং),মো. তকবির হোসেন (সুইমিং), আতিকুর রহমান (শুটিং), দেওয়ান মো. নজরুল ইসলাম (জিমনেস্টিক), মিজানুর রহমান মানু (সংগঠক), এ.এস.এম. আলী কবির (সংগঠক), মাহমুদা বেগম (অ্যাথলেট), ফরিদ খান চৌধুরী (অ্যাথলেট), নেলি জেসমিন (অ্যাথলেট) এবং নিপা বোস (অ্যাথলেটিক্স, অটিস্টিক)।
২০১১ সালের পদক বিজয়ীরা হলেন- রওশন আরা ছবি (জিমনেস্টিক), মো. কাঞ্চন আলী (বক্সিং), মো. আশরাফ আলী (রেসলিং), হেলেনা খান ইভা (ভলিবল), খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট), রবিউল ইসলাম (বডিবল্ডিং), জুম্মন লুসাই (হকি), কুতুবুদ্দিন মোহাম্মদ আকসির (সংগঠক), আশিকুর রহমান মিকু (সংগঠক) এবং শহীদ শেখ কামাল (অ্যাথলেটিক্স এবং সংগঠক, মরণোত্তার)।
২০১২ সালের পদক বিজয়ীরা হলেন- সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), মো. মহসিন (ফুটবল), খুরশীদ বাবুল (ফুটবল), আশিষ ভদ্র (ফুটবল), আব্দুল গাফ্ফার (ফুটবল), সত্যজিৎ দাস রুপু (ফুটবল), ফিরোজা খাতুন (অ্যাথলেটিক্স), নাজিয়া আকতার জুথি (ব্যাডমিন্টন), কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল (সংগঠক), মামুনুর রশিদ (হকি), সালমা রফিক (সংগঠক, মরণোত্তর) এবং নুরুল আলম চৌধুরী (সংগঠক)।
প্রসঙ্গত, দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করতে ১৯৭৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পদক চালু করা হয়। এ পযর্ন্ত মোট ১৮৮ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এই পদক পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯ জন ক্রিকেটার। আইসিসি ট্রপি বিজয়ী ক্যাপ্টেন আকরাম খান ১৯৯৮ সালে পদক পান। দেশের প্রথম ওয়ান-ডে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট বিজয়ী মোহাম্মদ রফিক ২০০৬ সালে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পান। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন খালেদ মাসুদ পাইলট ২০১১ সালের পদক এবং দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২০১২ সালের ক্রীড়া পদক গ্রহণ করবেন।