দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলোধুনো করেও পরাজয় যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ২০২৪-০৬-২০ ০৯:৩৯:৩৩


এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম চমকে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপপর্বের বৈতরণী পেরিয়ে সুপার এইটেও প্রথম ম্যাচেও বেশ সারা জাগানিয়া ক্রিকেট খেলেছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে প্রথম থেকেই তারা ছিল বেশ মারমুখী ছিল। বিশাল এই লক্ষ্য সংরক্ষণের চেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলোধুনো করলেও শেষ হাসিটা যুক্তরাষ্ট্রের হলো না। ১৮ রানে তাদের হারতে হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ৬ উইকেটে তাদের ১৭৬ রান জমা করা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

লক্ষ্যটা বড় হলেও কখনোই ম্যাচ ছেড়ে দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেমন ক্রিকেট খেলতে হয় সেটাই করেছে দলটি। পাওয়ারপ্লেতে তুলেছে ৫৩ রান। তবে সমস্যা হলো তারা উইকেট হারিয়ে ফেলে ২টি। এরপর অবশ্য রানে লাগাম টানে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভারে ৭৪ রানের মাথায় ৪ উইকেট তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের। এরপরও দলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন আন্দ্রিস গাউস।

মাঝে কোরি অ্যান্ডারসন ও শায়ান জাহাঙ্গীর বল বেশি না খেলে হয়তো ম্যাচের রেজাল্টটায় পাল্টে দিতে পারতেন গাউস। মাঝের অতিরিক্ত ডট বলের তৈরি করা ব্যবধান শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি হারমিত সিং ও গাউস। হারমিত ২২ বলে ৩৮ রানে ফিরলে শেষ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের স্বপ্ন। যদিও শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন গাউস। তবে তা দিনশেষে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

বুধবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই সুখকর হয় প্রোটিয়াদের। ১৬ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিক্সের উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আর কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্করামকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় উইকেট তুলে ১৩ তম ওভারে এসে। ৫ ছক্কা এবং ৭ চারে ৪০ বলে ৭৪ রান করা ডি কককে ফেরান হারমিত সিং। পরের বলেই ডেভিড মিলারকেও ফেরান তিনি।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩২ বলে ৪৬ রান করে বিদায় নেন মার্করাম। প্রোটিয়াদের দলীয় সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ১৪১ রান। এরপর ৩০ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাকি ইনিংস টেনে নেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ট্রিস্টান স্টাবস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

এএন