‘আমরা খোঁজ নিয়েছি ওয়ালটন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল উৎপাদনকারী। তারা আন্তর্জাতিক মানের হোম পণ্য তৈরি করছে। ওয়ালটন পণ্যের মান থাইল্যান্ডসহ আশিয়ান দেশভূক্ত অঞ্চলে গ্রহণযোগ্য। এমনকি ইউরোপা আমেরিকাতেও তা রপ্তানি হতে পারে। থাই ব্যবসায়ীদের সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে শুধু থাইল্যান্ডেই নয়; আশিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারিত হতে পারে ওয়ালটনের। ওয়ালটনের উত্থান শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বেও অন্যান্য দেশের জন্যও উদাহরণ’।
থাইল্যান্ড বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল চোকেদী কায়েসাং আজ (সোমবার) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। তাঁর নেতৃত্বে থাইল্যান্ডের ২০ সদস্যেও একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন। তারা ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন।
সোমবার সকালে থাই বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানান ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম, নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান ও আশরাফুল আম্বিয়া, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের, অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম এবং কর্নেল (অব.) এসএম শাহাদাত আলম প্রমূখ।
ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে চোকেদী কায়েসাং বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতি দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই থাইল্যান্ড বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবইলসহ অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ খাতগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন পণ্যের উৎফাদন প্রক্রিয়া এবং পণ্যমান দেখে আমরা মুগ্ধ। কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনারিজ, প্রোডাকটিভ কর্মীবাহিনী এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। থাইল্যান্ড, আসিয়ানভূক্ত দেশ, ইউরোপ ও আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে ওয়ালটন। এসব কারনেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে ওয়ালটন শীর্ষে। যা অন্যান্য দেশের কাছেও অনুসরণীয়।
থাই বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্টের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো চোকেদী কায়েসাং জানান, ওয়ালটন পণ্যের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড সম্ভাবনাময় একটি বাজার। থাইল্যান্ডের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া তথা আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোতেও বাজার সম্প্রসারনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে ওয়ালটনের। এই বিশাল অঞ্চলে বাজার সম্পসারণে থাই ব্যবসায়ীদের সাথে শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
এর আগে তারা ওয়ালটনের কর্পোরেট ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর প্রথমে তারা ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার এবং পরে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার এবং অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।