সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে সেমিফাইনালের লড়াই টিকে থাকতে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।
শনিবার (২২ জুন) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হয় রোহিত এবং কোহলি। প্রথম ১৫ রান খরচ করার পর চতুর্থ ওভারে আবারও বোলিং আসেন সাকিব। প্রথম বলেই ছক্কা এবং তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হজম করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তবে এক বল পরেই রোহিতকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তিনি। ১১ বলে ২৩ রান করে রোহিত আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন কোহলি। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৫৩ রান।
৯তম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন সাকিব। ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে বোল্ড আউট করেন তিনি। ২৮ বলে ৩৭ রান করে কোহলি আউট হলে পিচে এসেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার যাদব। তবে পরের বলেই এই মারকুটে ব্যাটারকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন জুনিয়র সাকিব।
তানজিম সাকিবের জোড়া আঘাতে কোহলি এবং সূর্যকুমার শিকার হলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন পান্থ। মারকুটে মেজাজে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ১২তম ওভারে রিশাদের বলে ক্যাচ আউট হন পান্থ।
পান্থের বিদায়ের পর ভারত শিবিরে হাল ধরেন শিভাব ডুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনের ব্যাটে করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে ভারত। তবে ১৮তম ওভারে রিশাদের বলে বোল্ড আউট হন ডুবে। ২৪ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়ার ২৭ বলের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৭ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব এবং রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া এক উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
এএ