বর্ণচোরা বিএনপিকে প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ: কাদের

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০৬-২৩ ০৯:৩৯:২০


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। এ অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।

রোববার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দলের জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে আমাদের রক্তমূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের নামে এ বর্ণচোরারা ভাঁওতাবাজি করে। সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শত্রু আজ আমাদের অভিন্ন শত্রু।

তিনি বলেন, এ অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়। আজ আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের আজ শপথ এ অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে এবং
আমরা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো। এটাই আজকের দিনের শপথ।

এর আগের সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা। পরে দলের অন্যান্য নেতারাও শ্রদ্ধা জানান।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এ রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।

এম জি