[caption id="attachment_31776" align="alignright" width="462"] ছবি: জাগোনিউজ[/caption]
গুলশানে একটি ভবন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা শেষ হলো চোর পালানোর গল্পে; যদিও মঙ্গলবার সকালে অভিযান শুরুর পর গুলশান এলাকায় জঙ্গি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল ১০টার দিকে গুলশান-১ নম্বরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজির শোরুম ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তখন খবর ছিল সেখানে অস্ত্রধারী চার যুবক প্রবেশ করেছেন।
এলজির শোরুমের নিচেই ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ। পাশে এনসিসি ব্যাংক। বিপরীতে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবির অফিস। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সতর্কাবস্থায় অবস্থান নেন র্যাব সদস্যরাও।
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মহিদুল ইসলাম সকালে জানান, ডাকাত কিংবা জঙ্গি সদস্যদের ডাকাতির পরিকল্পনা হিসেবে ধরে নিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে অভিযান চালানোর।
তবে পরে বেলা ১টার দিকে র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শফিউল আজম সিদ্দিকী বলেন, ওই ভবন থেকে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই ভবনের এমজি রয়্যাল সিকিউরিটি কোম্পানির মালিক দাবি করেছেন, তাদের তিন থেকে চার লাখ টাকা খোয়া গেছে।
ভেতরে যারা ছিলেন তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সেখান থেকে দুটি ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন আজম।
ঘটনার সূত্রপাত
মঙ্গলবার যে ভবন ঘিরে পুলিশ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ভবনটির নাম ‘চায়না বিল্ডিং’। ওই বিল্ডিংয়ের নিচতলায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ। পাশে এনসিসি ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরী সবুর মোল্লা বলেন, ঘটনার সূত্রপাত ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে।
তিনি বলেন, ওই ভবনের কলাপসিবল গেটের একজন তালা কাটছিলেন। তাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সে উপরে উঠে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সাড়ে ৭টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে অবস্থান নেয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সেখানে ডাকাত ঢুকেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট জোন ইন্সপেক্টর ফরহাদ জাগো নিউজকে জানান, সবুর মোল্লা তাদের সকাল সাড়ে ৭টায় খবর দেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ। তিনি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন এখানে ডাকাত পড়েছে।