প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০৬-২৭ ০৯:১৭:৩৬
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে ত্রিনিদাদে প্রথম সেমি ফাইনালে মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তান। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এটাই তাদের প্রথম সেমিফাইনাল। টস জিতে ভালো কিছু করার আশা দেখিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে লড়াইয়ের শুরুতেই ব্যাকফুটে আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫৬ রান করতেই অল আউট তারা। জবাবে ব্যাট হাতে ৮.৫ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। যে কোনো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পারলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে রশিদ খানের দল। ত্রিনিদাদে ব্যাট করতে নেমে বাস্তবতা টের পায় আফগানরা। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি খেই হারিয়ে বসে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা এবং তাবরিজ শামসির তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের ব্যাটাররা মোটেও দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়া বোলারদের সামনে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ ১০ রান করেন। আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। গ্রুপ পর্ব এবং সুপার এইটে যেভাবে খেলেছে আফগানরা, সেমিফাইনালে তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারেনি। ত্রিনিদাদের উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে সেটাও হয়তো ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি। যে কারণে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছে তারা।
কিন্তু ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে মার্কো ইয়ানসেনকে উইকেট দিয়ে আসেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। রিজা হেন্ডরিক্সের হাতে ক্যাচ দেন কোনো রান না করেই। এরপর গুলবাদিন নাইব (৯), ইবরাহিম জাদরান (২), মোহাম্মদ নবি (০)- একে একে আউট হতে থাকেন। নানগেয়ালিয়া খারোত ৭ বলে করেন ২ রান। আজমত উল্লাহ ওমরজাই ১০, করিম জানাত ১৩ বলে ৮ রান করে আউট হন।
রশিদ খান ৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করে নরকিয়ার বলে বোল্ড হয়ে যান। নুর আহমদ আউট হন কোনো রান না করেই। সর্বশেষ নাভিন-উল হক এলবিডব্লিউ আউট হতেই শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালে আফগানদের ব্যাটিং দৌড়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ রানের মাথায় কুইন্টন ডি কক আউট হলেও তাতে বিপদ বাড়েনি প্রোটিয়াদের। এইডেন মার্করাম এবং রিজা হেন্ড্রিকসের অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো তুলে দেয় যেকোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে। নিজেদের ৮ম সেমিফাইনাল ম্যাচে এসে এমন সাফল্য পেল প্রোটিয়ারা।
এম জি