বিশেষ করে যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়ক।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ৪০ কিলোমিটার তীব্র যানজট লেগে আছে।
যানজট নিরসনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। তাদের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মহাসড়কে কাজ করছেন। তাতেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না।
এরআগে মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়।
টাঙ্গাইলের করটিয়া থেকে মির্জাপুর এবং গাজীপুর জেলার চন্দ্রা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার এলাকার দুইপাশে যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা এ যানজটে কর্মস্থলে যাওয়া ও ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া, জামুর্কি, পাকুল্যা, শুভুল্লা, ইচাইল, গোড়াইল নয়াপাড়া, মির্জাপুর বাইপাস, বাওয়ার কুমারজানি, দেওহাটা, ধেরুয়া, সোহাগপাড়া, গোড়াই, ক্যাডেট কলেজ ও বোর্ড এলাকায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের ২২টি জেলার যানবাহন ছাড়াও টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর জেলার গরুবাহী ট্রাক ও যানবাহন এখন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।
বিপুল সংখ্যক যানবাহনের চাপে এই মহাসড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজ, কয়েকটি, ফ্লাইওভারের কাজ, দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় যানজট সৃষ্ট হয়েছে।
যানজট নিরসন করতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ, জেলা ও থানা পুলিশ, র্যাব, আনসার, জেলা প্রশাসন ও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান খলিলুর রহমান।