পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষা নেওয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে জেএসসি পরীক্ষা বিষয়ে জারি করা পরিপত্র এবং সরকারের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ ছয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি নিজেই।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়েল সচিব, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, জেএসসি পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে নেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা এবং ২০১৬ সাল থেকে জেএসসি পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে না নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ২০১৬ সাল হইতে জেএসসি পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে না নেয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করা হয়েছে।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ- ১৯৬১ অনুযায়ী সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি/এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ওই আইনে জেএসসি পরীক্ষা বলতে কিছু নেই।
এছাড়া বিশ্বের সকল দেশে ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নিম্নের কোনো পরীক্ষাই পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। তাই জেএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭/১৫/১৭/২৬/২৭/৩১/৩২/৩৪ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করা হয়। জেএসসি পরীক্ষা নেয়ার সরকারের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মেধাশূন্য করছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।