জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৪১তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বাজেট উত্থাপিত হবে।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করবেন।
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ২৯৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে এবার বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত মূল বাজেটে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ ৭৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ রাখা হয়েছে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ দুই খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
এদিকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে গত বছরের বাজেটের তুলনায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ শতাংশেরও কম।
এ ছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে যন্ত্রপাতি খাতে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যানবাহন ক্রয় বাবদ শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, অন্যান্য মূলধন জাতীয় ব্যয়ে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে ছাত্র কল্যাণ তহবিলে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) খাতে রাখা হয়েছে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ।
এ বছর বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গবেষণা ভাতা, নৈশ ভাতা ও ইন্টারনেট ভাতা খাতে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে বিশেষ সুবিধা খাতে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৭ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হতো।
বিএইচ