মূল একাদশে নেই লিওনেল মেসি, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পলের মতো নিয়মিত সব মুখ। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় এদিন মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখেছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসির সঙ্গে মার্কাস আকুনিয়া ছিটকে গিয়েছিলেন ইনজুরির কারণে। আবার নিষেধাজ্ঞার কবলে ছিলেন স্কালোনি নিজেই।
কিন্তু ডাগআউটে পাবলো আইমার আর ওয়াল্টার স্যামুয়েলদের নিয়ে কিংবা মাঠে মূল একাদশের বাইরের খেলোয়াড় নামিয়ে দিয়েও আর্জেন্টিনাকে থামানো যায়নি। আরও স্পষ্ট করে বললে, থামানো যায়নি ‘এল তোরো’ খ্যাত লাউতারো মার্টিনেজকে। তার জোড়া গোলের সুবাদে টানা তিন জয় নিয়ে দাপটের সঙ্গেই কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্ব শেষ করলো আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে তাই সেই কাজটিই আগে করেছে আর্জেন্টিনা। ৪৭ মিনিটেই পেরুর জালে বল জড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নিয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। তাকে গোলে সহায়তা করেছে ডি মারিয়া।
কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছিল নিয়মরক্ষার। যেখানে চোটের কারণে মাঠে নামেননি লিওনেল মেসি। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনি। তার জায়গায় আর্জেন্টিনার ডাগআউটের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ওয়াল্টার স্যামুয়েল।
এদিন প্রথমার্ধে সব ক্ষেত্রেই দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। ম্যাচের ৮০ শতাংশ বল দখলে রেখে পেরুর রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে কোপার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও ৫ বার গোলের উদ্দেশে শট নিয়েও কোনো বারই জালের দেখা পায়নি তারা।
পেরুর নেওয়া শট গিয়ে গোলপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। তাতে গোল হজম করা থেকে বাঁচে আর্জেন্টিনা। তবে আর্জেন্টিনার জয়ের সেই ব্যবধান আরও বাড়তে পারত যদি না ৭২ মিনিটে পেরেদেসের নেওয়া পেনাল্টি শট সাইডবারে লেগে ফিরে না আসত। তবে দিন শেষে গোলের ব্যবধানটা আরও বড় না হওয়ার আক্ষেপ থাকলেও দাপুটে জয়ই পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
এম জি