কোরবানি ঈদকে বিক্রেতারা সাধারনত ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসূম হিসেবে গণ্য করেন। তার যর্থার্থতা প্রমানিত হচ্ছে। সারা দেশে ব্যাপকহারে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশকদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধুম। বেশি বিক্রি হচ্ছে ডিপ ফ্রিজ। তবে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি বড় ডিপযুক্ত ওয়ালটনের সাধারন ফ্রিজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
জানা গেছে, ঈদুল আযহায় কোরবানীর মাংস সংরক্ষণের জন্য বিপুল পরিমান রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বিক্রি হয়। এবার ঈদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরম থাকায় ফ্রিজের চাহিদা বেশি। সেইসঙ্গে মানুষের মাথাপিঁছু আয় বৃদ্ধি, বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নতি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকায় বিক্রি বেড়েছে কনজ্যুমার ডিউরেবল প্রোডাক্টের।
দেশের সর্বত্র ওয়ালটন শোরুমগুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ঈদের পরেরদিনও ফ্রিজ বিক্রি হয় বলে জানালেন বিক্রেতারা। কোরবানীর ঈদে ওয়ালটন সাড়ে চার লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে।
বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের মোট ৫০ টি মডেলের রেফ্রিজারটর, ফ্রিজ ও ফ্রিজার। এগুলোর ধারণক্ষমতা ১১৫, ১৮৫, ২৩৮, ২০৯, ২১৩, ২৩৪, ২৩৮, ২৪৪, ২৫৪, ২৬৫, ২৯৫, ৩২০, ৩৪৮, ৩৬৫, ৩৯৬, ৪৩০, ৫১২, ৫২৬ ও ৫৮৫ লিটার। এরমধ্যে থাকছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ৬টি মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। ৫২৬ লিটারের তিন-দরজা বিশিষ্ট নন-ফ্রস্ট ফ্রিজটি সৌখিন ক্রেতাদের দৃষ্টি কেড়েছে। ডিপ ফ্রিজের মধ্যে আছে ১২৩, ১৪৫, ২০৫ ও ৩০০ লিটারের ৮টি মডেল। ১৩,৯০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ।
চট্টগ্রাম জোনে ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার ইমরুজ হায়দার খান বলেন, এবার ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। বিশেষ করে, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো। অবশ্য ঈদের আগে ডিপ ফ্রিজ এবং বড় ডিপযুক্ত সাধারন ফ্রিজের চাহিদা বেশি।
খুলনার ডাকবাংলায় ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মোঃ শাকিল খান জানান, শেষ মুহুর্তে গ্রাহকের ভিড় শামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ক্রেতারা অন্যান্য ব্র্যান্ডের শোরুমে গেলেও শেষ পর্যন্ত কিনছেন ওয়ালটন থেকেই। তার ধারনা, ঈদের আগেরদিন ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে। ওয়ালটনের লালমনিরহাট জোনের এরিয়া ম্যানেজার এমএস দীন ইসলাম জানান, এবার রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজের চাহিদা ব্যাপক। এই ফ্রিজ কিনলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের আলাদাভাবে ডিপ ফ্রিজের দরকার হয় না। ইতোমধ্যে ২১৩ লিটার, ২১৭ লিটার ও ৩৩০ লিটারের ফ্রিজগুলোর বিক্রি বেশি।
বগুড়ায় ঝাউতলায় ওয়ালটন প্লাজার ইনচার্জ মোঃ আবু তাহের সিদ্দিকী বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজের উচ্চ গুণগত মান সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করতে ত মাইকিং করা হয়েছিল। লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়েছিলাম। এতে করে, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে।
রাজধানীর গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর আবাবিল ইলেকট্রনিক্সের ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ জানালেন, বেচা-বিক্রি নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট। গত ৫ বছরে গ্রাহকের এতোটা চাপ তিনি দেখেন নি। তিনি বলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে ভালোমতো কথা বলারও সময় পাচ্ছি না। মেমো, চালান ইত্যাদি লেখা আর ফ্রিজের ডেলিভারি নিয়ে সবাই মহাব্যস্ত।
বিক্রেতার জানান, আইএসও সনদ প্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর নেটওয়ার্ক এখন সারা দেশে বিস্তৃত। তাছাড়া ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, কম্প্রেসারে ১০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে। এমনকি তিন বছরের সহজ কিস্তিতে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। সেরা পণ্য, সেরা সেবা ইত্যাদি বিবেচনায় গ্রাহকরা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনছেন।