পানামাকে কাঁদিয়ে কোপার সেমিতে কলম্বিয়া
স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০৭-০৭ ০৯:০২:০৮
নবাগত পানামাকে কাঁদিয়ে কোপা আমেরিকার শেষ চার নিশ্চিত করেছে দারুণ ছন্দে থাকা কলম্বিয়া। এ নিয়ে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত লস ক্যাফেতেরোসরা।
কলম্বিয়ার দাপুটে এ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপের ওয়ান্ডার বয় হামেস রদ্রিগেজ। দীর্ঘদিন ইনজুরি আর ফর্মের সঙ্গে লড়াই করতে থাকা রদ্রিগেজ যেন নিজের পুরোনো ঝাঁঝ ফিরে পেয়েছেন এবারের কোপার শুরু থেকেই। আজকের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে এক গোল করার পাশাপাশি সরাসরি অবদান রেখেছেন দুই গোলে। আর এর মধ্য দিয়ে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে তিন গোলে অবদান রাখা প্রথম ফুটবলার হয়ে গেলেন তিনি।
রদ্রিগেজের রেকর্ডের দিনে দুর্দান্ত খেলেছেন লস ক্যাফেতেরোসদের বাকিরাও। অবশ্য ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে, নবাগত হিসেবে দারুণ খেলেছে পানামাও। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ফার্ম স্টেডিয়ামে শেষ আটের ম্যাচে কলম্বিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ শট নিয়েছেন পানামার খেলোয়াড়রা। এমনকি বল দখলের লড়াইয়েও ভালোই টক্কর দিয়েছে এবারের কোপার চমক হিসেবে আবির্ভূত হওয়া দলটি। পুরো ম্যাচে কলম্বিয়ার ৭ টি শটের বিপরীতে ১৪ টি শট নিয়েছে উত্তর আমেরিকার প্রতিনিধিরা।
তবে, এতগুলো শটের মধ্যে মাত্র তিনটি শট ছিল অন-টার্গেট; যার সবকটি রুখে দেন কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাস। পানামার বাকি ১১টি শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
পক্ষান্তরে গোছানো খেলার পাশাপাশি শট নেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ অ্যাকুরেট ছিলেন রদ্রিগেজ-করদোবা-ডিয়াজরা। এটাই মূলত পার্থক্য স্পষ্ট করে দেয় দুই দলের শক্তিমত্তার।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। খেলা ৮ মিনিট গড়াতেই হামেস রদ্রিগেজের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন জন করদোবা। এর ৭ মিনিট বাদে পেনাল্টি থেকে নিজেই গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগেজ। ১৪তম মিনিটে কলম্বিয়ান উইঙ্গার জন আরিয়াসকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন পানামার গোলরক্ষক ওরলান্ডো মসকুইরা। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি স্পট থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগেজ।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েই একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে পানামা। কিন্তু এলোমেলো সব শটে নষ্ট করে সবকটা সুযোগ। এরই মধ্যে প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও এক গোল করে ম্যাচটা পানামার নাগালের বাইরে নিয়ে যায় কলম্বিয়া। এ গোলেও অবদান রাখেন ৩২ বছর বয়সী রদ্রিগেজ। সেট পিস থেকে বল বানিয়ে দেন লুইস ডিয়াজকে। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ব্যবধান তিনগুণ লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক সুযোগ মিস করে পানামা। মাঝে সুযোগ তৈরি করেই দারুণভাবে কাজে লাগায় কলম্বিয়া। ৭০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে দারুণ এক গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলেন রিচার্ড রিওস।
চার গোল হজম করার পরও দারুণভাবে লড়েছে পানামা। কিন্তু তাদের দুর্দান্ত সব প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায়। উল্টো নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে বসে তারা। কলম্বিয়ার বদলি ডিফেন্ডার সান্তিয়াগো আরিয়াসকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন হোসে করদোবা। পেনাল্টি নেন রিভার প্লেট ফরোয়ার্ড মিগুয়েল বোরহা। পানামা কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ডান পায়ের শটে। আর এর সঙ্গেই ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে লস ক্যাফেতেরোসরা।
বিএইচ