সৌদি ভিসা বিক্রি করলে সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
প্রকাশ: ২০১৫-১০-২৩ ১৩:০৬:২৭
শ্রম আইনে আবারও সংশোধনী এনেছে সৌদি আরবের সরকার। নতুন শ্রম আইনে বলা হয়েছে, দেশটিতে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট তাদের কাছেই রাখতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে নিয়োগকর্তাকে।
সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিয়োগকর্তা যদি কোন অভিবাসী শ্রমিকের পাসপোর্ট আটক করে রাখে তাহলে তাকে ২০০০ সৌদি রিয়াল বা ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কাজের চুক্তিনামার কপি শ্রমিককে না দিলে নিয়োগকর্তাকে ৫০০০ সৌদি রিয়াল বা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিককে কাজ না দিলে বা চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত কাজ করালে ১৫০০০ সৌদি রিয়াল বা ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
সংশোধিত আইনে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত মানদণ্ড ভঙ্গ করলে এবং সৌদি নাগরিকের নামে বিদেশি নাগরিক নিয়োগ দেওয়া হলে উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ২৫ হাজার সৌদি রিয়াল বা ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে বাধ্য থাকবেন নিয়োগকর্তা। এছাড়া বিদেশিদের কাছে ভিসা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেলে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভিসার মেয়াদ শেষ এমন কোনো শ্রমিককে কাজে নিয়োগ দেওয়া হলে ৪৫ হাজার সৌদি রিয়াল বা ৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোনো পোস্টে পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হলে নিয়োগদাতাকে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল বা ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শ্রমিকদের বেতন দিতে দেরি করলে, ছুটির দিনে বা গরমে বা খারাপ আবহওয়ায় শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করা হলেও নিয়োগকর্তাদের শাস্তির আওতায় নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার শ্রম আইনে সংশোধনী এনেছে সৌদি আরবের সরকার। নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়াতেও শ্রম আইনের সংশোধন করা হয়েছিল দেশটিতে।