আমানত এবং আয়ে আবারও ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০৭-৩০ ২০:২৭:১৫
আমানত এবং আয়ে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির ফলে ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) ৭৭% বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯১ কোটি টাকা হয়েছে।
স্ট্যান্ডঅ্যালোন বা একক ভিত্তিতে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানত ৩৪% (অ্যানুয়ালাইজড ভিত্তিতে) বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯,১৩২ কোটি থেকে ৫৭,৫১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে আয় ৩৭% বৃদ্ধি পেয়ে ১,৫১০ কোটি থেকে ২,০৬১ টাকা হয়েছে।
২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির অন্যান্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৫৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যার পরিমাণ ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৩৩৪ কোটি টাকা।
এক্ষেত্রে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির একক (স্ট্যান্ডঅ্যালোন) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৭১% বৃদ্ধি পেয়ে ৫১৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩০৩ কোটি টাকা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ:
• ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের ১.৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ২.৯৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে
• ৩০ জুন ২০২৪- এ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) ৩৯.৯৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৩৭.৬০ টাকা ছিল
• গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহিত আমানতের সঠিক মোবিলাইজেশনের ফলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ১৯.৬১ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫.৮৩ টাকায় উন্নীত হয়েছে
• ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির একক (স্ট্যান্ডঅ্যালোন) খেলাপি ঋণের হার (এনপিএল) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে ২.৮৯% হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩.৩৮%। এটি মূলত ব্যাংকটির শক্তিশালী নন-পারফর্মিং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচায়ক
• ভবিষ্যতের যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংকটি ১৩৫% খেলাপি ঋণ (এনপিএল) কভারেজ বজায় রেখেছে
• ব্যাংকটির সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) যথাক্রমে ১৫.২২% এবং ১.১৭% – এ দাঁড়িয়েছে
ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রথমার্ধের আর্থিক ফলাফল মূলত ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের ওপরে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের আর্থিক সেবা প্রদানে আমাদের শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানকে তুলে ধরে। এটি আমাদের ওপর আমাদের গ্রাহকদের অবিচল আস্থা এবং ব্যাংকিং খাতে আমাদের টেকসইতার প্রমাণ। আমরা আমাদের এই প্রবৃদ্ধিযাত্রা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করতে চাই। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা যে আমাদের ব্যবসায় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, এই ধরনের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণের যাত্রাকেই নির্দেশ করে।”
তিনি আরও বলেন, “এমন সাফল্য অর্জনে আমাদের ব্যাংকের সহকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা, আমাদের পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনা এবং এই বাংলাদেশ ব্যাংকের সময়োপযোগী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনার জন্য আমি সকলের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা আমাদের গ্রাহক এবং স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে যে অবিচল আস্থা এবং সমর্থন পাই, সেটিই আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির মূল হাতিয়ার।”
এএ